জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় জিয়াউল হকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: ক্রাইম রিপোর্টার: কাজল

এলাকা: ডেস্ক


জামালপুরে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত বহুল আলোচিত মামলায় জিয়াউল হককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। সোমবার (৫ মে) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সম্মানিত বিচারক, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল ইসলাম এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল আমিন শামীম জানান, ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর মাদারগঞ্জ উপজেলার দিঘলাকান্দি গ্রামের মৃত নুরল মন্ডলের পুত্র জিয়াউল হক প্রতিবেশী পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে চানাচুর খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজের মনোহারী দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর নানা মনির উদ্দিন বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় সাতজন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত জিয়াউল হকের উপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সেইসঙ্গে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

রায়ের নির্দেশনায় বলা হয়, আসামির নিকট থেকে আদায়কৃত অর্থ ভুক্তভোগী শিশুর শিক্ষা ও লালন-পালনের ব্যয়ে ব্যয় করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং মামলার বাদী এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল আমিন শামীম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম তরফদার।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন
প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট

এলাকা: সিলেট


ইউকে প্রবাসী কমিউনিটির অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাংবাদিক ও সমাজসেবক, ডেইলি সানরাইজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব আহমদ আলী সাহেবের সাথে সম্প্রতি এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশন-এর সম্মানিত সভাপতি জনাব লাভলু মিয়া সুজন।

সাক্ষাৎকালে উভয়েই সাংবাদিকতা জগতের বর্তমান পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা, প্রবাসী সমাজের ভূমিকা, এবং মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জনাব আহমদ আলী তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিকতা ও সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন এবং বলেন, “আজকের সাংবাদিকদের উচিত কেবল সংবাদ পরিবেশন নয়, বরং সমাজের সঠিক প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করে জনসচেতনতা বাড়ানো।”

তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্র কেবল একটি তথ্যভিত্তিক মাধ্যম নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। প্রবাসী সাংবাদিকদেরও এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা প্রয়োজন।”
জনাব লাভলু মিয়া সুজন এ সময় ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, “আমাদের সংগঠন শুধু সাংবাদিকদের সমস্যা চিহ্নিত করছে না, বরং সেগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছে।”

দুজনেই ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও কাজের আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎ শেষে উভয়ের মধ্যে সৌজন্যমূলক উপহার বিনিময় হয় এবং স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করা হয়।

এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতা, প্রবাসী কমিউনিটি এবং সমাজসেবার ক্ষেত্রে একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে।

সিলেটের সাপ্লাইয়ে দুই সম্পাদকের সাক্ষাৎ