প্রতিনিধি: ✍️ মামুনুর রশীদ, স্টাফ রিপোর্টার

এলাকা: কুমিল্লা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শ্বশুরালয় হিসেবে সুপরিচিত ঐতিহাসিক কবিতীর্থ দৌলতপুর, অবশেষে জাতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে — যা দেশের নজরুল গবেষণা ও সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে এক গৌরবোজ্জ্বল অর্জন।

এ অসাধারণ অর্জনের মূল কারিগর কুমিল্লার কৃতী সন্তান, মোঃ মিজানুর রহমান সরকার, যিনি নজরুল নিকেতনের সদস্য সচিব হিসেবে বহু বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। তাঁর একক উদ্যোগ, প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে এই জাতীয় স্বীকৃতি।

—

🎯 দীর্ঘদিনের দাবি ছিল দৌলতপুরকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া

নজরুল নিকেতন ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ দেশের অসংখ্য নজরুলপ্রেমীর দীর্ঘদিনের দাবির মুখেই ছিল দৌলতপুরকে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি দেওয়া।
মোঃ মিজানুর রহমান সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় অবশেষে কবিতীর্থ দৌলতপুরকে সরকারিভাবে জাতীয় অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

—

🗂️ নথিভুক্ত হলো নজরুলের শ্বশুরালয়

নজরুল নিকেতনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কবিতীর্থ দৌলতপুরকে জাতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া এখন সরকারি দপ্তরে চূড়ান্তভাবে নথিভুক্ত।
সদস্য সচিব মিজানুর রহমান সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন—

> “এই অর্জন শুধু দৌলতপুরের না, এটি গোটা জাতির জন্য গর্বের। নজরুলের ঐতিহ্যকে জাতীয়ভাবে তুলে ধরার এই প্রচেষ্টায় আমি সারাজীবন কাজ করে যেতে চাই। সবার দোয়া ও সহযোগিতা কাম্য।”

—

📅 নজরুল জন্মবার্ষিকীতে ব্যতিক্রমী আয়োজন

জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নজরুল নিকেতনের উদ্যোগে কুমিল্লা এবং দৌলতপুরে আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

📌 ২৫ মে ২০২৫: কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে আয়োজিত হয় জন্মবার্ষিকীর প্রথম অনুষ্ঠান

📌 ২৬ মে ২০২৫: কবির শ্বশুরালয় কবিতীর্থ দৌলতপুরে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় পর্ব

এই আয়োজনের মাধ্যমে দৌলতপুরে নজরুল চর্চা ও স্মৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব নতুনভাবে জাতির সামনে আসে।

—

🧡 নজরুল নিকেতনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

এ সাফল্যের পর নজরুল নিকেতন, দৌলতপুরবাসী ও সর্বস্তরের নজরুল অনুরাগীদের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোঃ মিজানুর রহমান সরকার।
তিনি বলেন—

> “জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে দৌলতপুর শুধু একটি গ্রাম নয়, এখন এটি জাতীয় কবির স্মৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। এই উত্তরাধিকার আমরা গর্বের সঙ্গে বহন করবো।”

—

📍 এই সংবাদটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন, যেন জাতীয় কবির স্মৃতি ও তাঁর ঐতিহ্য দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছাতে পারে।