নাগরপুরে সাংবাদিকের মুরগি এবার মোরগে রূপ নিয়েছে! হাজারো জনতার ভিড়

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: মোঃ হালিম মিয়া, নিজস্ব প্রতিনি

এলাকা: টাঙ্গাইল

 

প্রকৃতি মাঝে মাঝে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার জন্ম দেয়, যা মানুষের ভাবনারও বাইরে। টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ঘিওরকোল গ্রামে ঘটেছে ঠিক এমনই এক ব্যতিক্রমী ও অস্বাভাবিক ঘটনা। নাগরপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক মো. আমজাদ হোসেন রতনের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পালিত একটি মুরগি—যা নিয়মিত ডিম দিত ও বাচ্চা ফুটাত—হঠাৎ করেই মোরগে রূপান্তরিত হয়েছে!

মুরগিটির মালিক মো. আমজাদ হোসেন রতন (৫৫) জানান, “প্রায় এক বছর ধরে মুরগিটি আমাদের বাড়িতে আছে। একাধিকবার ডিম দিয়েছে, বাচ্চাও ফুটিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আমার ছোট মেয়ে জানায়, মুরগিটি মোরগের মতো ডাকছে। তখন দেখি তার শরীরে পরিবর্তন এসেছে—ঝুঁটি গজিয়েছে, পালক শক্ত হয়েছে, আর গত ৮-১০ দিন ধরে ডিম দেওয়াও বন্ধ।”

গৃহকর্ত্রী মোছা. লাখী তালুকদার বলেন, “মুরগিটি আমাদের ঘরেরই এক সদস্যের মতো ছিল। এতদিন ধরে লালন-পালন করে আসছি। হঠাৎ দেখি তার আচরণ বদলে গেছে। এখন সে মোরগের মতো ডাকছে, হাঁটাচলা করছে, এমনকি তার গায়ে পুরুষ মোরগের বৈশিষ্ট্যও স্পষ্ট।”

এই বিস্ময়কর ঘটনা জানাজানি হতেই আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ভোর থেকেই বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে তালুকদার বাড়িতে ঘটনাটি নিজের চোখে দেখতে। সরেজমিনে দেখা যায়, মুরগিটি এখন মোরগের মতো স্বাভাবিকভাবে হাঁটছে, মাঝে মাঝে ডাকছে পুরুষ মোরগের মতো।

এ বিষয়ে এক অভিজ্ঞ প্রাণিচিকিৎসক জানান, “এটি এক ধরনের হরমোনজনিত অস্বাভাবিকতা। অনেক সময় মুরগির ডিম্বাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে শরীরে পুরুষ বৈশিষ্ট্য বিকাশ ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘Spontaneous Sex Reversal’। ঘটনাটি অত্যন্ত বিরল হলেও এটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যাযোগ্য।”

ঘিওরকোল গ্রামের এই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। কেউ একে অলৌকিক বলছে, কেউ বলছে প্রকৃতির খেয়াল। তবে বিশেষজ্ঞরা এটিকে বিজ্ঞানসম্মত ব্যতিক্রম বলেই অভিহিত করছেন।

স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, “জীবনে এমন ঘটনা কখনও দেখিনি। প্রকৃতি মাঝে মাঝে এমন কিছু করে, যা সত্যিই বিস্ময়কর।”

 

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন
প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট

এলাকা: সিলেট


ইউকে প্রবাসী কমিউনিটির অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাংবাদিক ও সমাজসেবক, ডেইলি সানরাইজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব আহমদ আলী সাহেবের সাথে সম্প্রতি এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশন-এর সম্মানিত সভাপতি জনাব লাভলু মিয়া সুজন।

সাক্ষাৎকালে উভয়েই সাংবাদিকতা জগতের বর্তমান পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা, প্রবাসী সমাজের ভূমিকা, এবং মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জনাব আহমদ আলী তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিকতা ও সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন এবং বলেন, “আজকের সাংবাদিকদের উচিত কেবল সংবাদ পরিবেশন নয়, বরং সমাজের সঠিক প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করে জনসচেতনতা বাড়ানো।”

তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্র কেবল একটি তথ্যভিত্তিক মাধ্যম নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। প্রবাসী সাংবাদিকদেরও এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা প্রয়োজন।”
জনাব লাভলু মিয়া সুজন এ সময় ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, “আমাদের সংগঠন শুধু সাংবাদিকদের সমস্যা চিহ্নিত করছে না, বরং সেগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছে।”

দুজনেই ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও কাজের আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎ শেষে উভয়ের মধ্যে সৌজন্যমূলক উপহার বিনিময় হয় এবং স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করা হয়।

এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতা, প্রবাসী কমিউনিটি এবং সমাজসেবার ক্ষেত্রে একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে।

সিলেটের সাপ্লাইয়ে দুই সম্পাদকের সাক্ষাৎ