খুলনা, ১৩ এপ্রিল ২০২৫—
খুলনার বয়রা বৈকালি ফকিরবাড়ি এলাকার তরুণ আশিকুল বাসার সাদ (২২–২৪), পিতা খাইরুল বাসার বাবলু, গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটার দিকে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। সাধারণত ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘরে ফিরে আসতেন তিনি। কিন্তু সেদিন আর ফেরেননি।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও সাদের সন্ধান না মেলায় উদ্বিগ্ন পরিবার খোঁজ শুরু করে। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা আশপাশের এলাকায় খোঁজ চালিয়েও কোনো হদিস পাননি।
পরদিন, ১০ এপ্রিল সকাল দশটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অজ্ঞাত মরদেহের ছবি দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়। দ্রুত ছুটে যান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে—সেখানে গিয়েই শনাক্ত করেন, মৃতদেহটি তাঁদের প্রিয় সাদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের বরাতে জানা যায়, রূপসা উপজেলার কুদির বটতলা এলাকার একটি প্রধান সড়কের পাশে সাদের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এক ভ্যানচালক রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
পরিবারের দৃঢ় বিশ্বাস, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাঁদের ভাষায়—“সাদ কখনো নিখোঁজ হন না, তাঁর কোনো শত্রুও ছিল না।” প্রিয় সন্তান হারিয়ে বাবা-মা প্রায় বাকরুদ্ধ ও অচেতন। বোনেরা দিশেহারা। এই মর্মন্তুদ ঘটনায় গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া—সইবার মতো নয় সেই ব্যথা।
সাদের বড় বোন, সাংবাদিক নাহিদা আক্তার লাকি—আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদক—দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক মহল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, মানবাধিকার কমিশন, জাতিসংঘ ও গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন—“আমরা বিচার চাই। সাদ কারও শত্রু ছিল না। এভাবে একটি তরুণ প্রাণ ঝরে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এই হত্যার নেপথ্যের অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”
প্রতিবেশীরাও জানান, সাদ ছিলেন ভদ্র, নম্র এবং সবার প্রিয়। তাঁর এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউ।